বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স:
নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ একে অপরের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস রফতানির’ অভিযোগ আরোপ করে গত রোববার জাতিসংঘে পরস্পরকে গালাগাল করেছে। এক দিন পর পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালানোর সন্দেহে দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া দাবি করেছে যে, অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশকারী দুই ব্যক্তিকে খালিস্তানের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার হওয়া দুই ভারতীয়র নাম প্রশান্ত ও দারিলাল বলে জানানো হয়েছে। তারা যথাক্রমে মধ্য প্রদেশ ও তেলেঙ্গানার লোক বলে চিহ্নিত করা হয়। তাদের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে, তাকে পাকিস্তানে কোনো অত্যাধুনিক সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এর আগে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সেপ্টেম্বরে তোরখাম সীমান্তে কথিত এক গোয়েন্দাকে গ্রেফতার করেছিল। তার নাম উমর দাউদ বলে প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসী কারখানা’ পরিচালনা করছে- ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সরকার জানায়, তেমন কিছু যদি হয়েই থাকে, তবে কমান্ডার কুলভূষণ যাদবই হলেন পাকিস্তানে ভারতের সন্ত্রাসবাদ রফতানির প্রমাণ। সাবেক ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদব গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের হাতে আটক রয়েছেন। ভারত ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে উপস্থাপন করেছে।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের অনুপ্রবেশ করার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে আসছে নয়া দিল্লি। গত তিন দশকে এখানে ৪০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান তার পূর্ব ও উত্তর সীমান্তে সন্ত্রাস রফতানির জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করে আসছে। পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত দেশ দুটি গত ফেব্রুয়ারি থেকে আরো বেশি উত্তেজনায় রয়েছে। ওই সময় পাকিস্তানভিত্তিক জৈশ-ই-মোহাম্মদ কাশ্মীরে এক আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৪২ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করে। এরপর ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। সূত্র: স্পুটনিক।
কি-ওয়ার্ড: পাকিস্তান, খালিস্তান, ভারত, সন্ত্রাসী, গোয়েন্দা।